গাইবান্ধা – ৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপনের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শনিবার দিনগত রাতে ফুলছড়ি উপজেলার ৩ নং উদাখালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নাড্ডারমোর এলাকায়
এই ঘটনা ঘটে।
আজ রবিবার সকালে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের খবর পেয়ে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, উক্ত নির্বাচনী অফিসে থাকা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ নির্বাচনী অফিসে থাকা টেবিল চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। কারা ভাঙচুর করেছে এ ব্যাপারে নির্বাচনী অফিসের আশেপাশে থাকা দোকান ও এলাকাবাসীর বক্তব্য নিতে গেলে তারা বলেন, গতকাল রাতের যে কোন সময় কে বা কাহারা এই অফিস ভাঙচুর করেছে তা তারা বলতে পারছেন না।
এদিকে নির্বাচনী অফিসের দায়িত্বে থাকা কয়েকজন কর্মীর সাথে আলাপ হলে তারা বলেন, আমরা সকালে অফিস খোলার জন্য আসলে দেখতে পাই বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ আমাদের নির্বাচনী অফিসে থাকা পোষ্টার, চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করা হয়েছে এবং এলোমেলো অবস্থায় সব কিছু পরে আছে। তবে কারা ভাঙচুর করেছে এই প্রশ্ন করলে কেউ বলতে পারেনি এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত।
এ ব্যাপারে উদাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতার আলী সরকার বলেন, আমাদের নৌকা মার্কার জয় সুনিশ্চিত জেনে, বিপক্ষ যে কোন গ্রুপ রাতের আঁধারে এই অফিস ভাঙচুর করেছে বলে আমরা মনে করছি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী করছি।
অন্যদিকে ঘটনাস্থলে থাকা আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম মওলা বলেন, আমরা এই ঘৃন অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী করছি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান টেলিফোনে এই প্রতিবেদককে জানান, আমি শুনেছি জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ আমাদের ঐ নির্বাচনী অফিসে থাকা চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করছি নৌকা মার্কার প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন এর জয় সুনিশ্চিত জেনে বিপক্ষ গ্রুপ এই কাজ করেছে। আমি এই ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।