বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মাটির নিচে পালিয়ে থাকলেও খুঁজে বের করে বিচারের জায়গায় আনা হবে ইনশাআল্লাহ্ -মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান মুরাদনগর উপজেলায় ২’শত ফুট লম্বা বাশেঁ সাকোঁ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে ২০ গ্রামের লক্ষাধীক মানুষ। নেত্রকোণায় বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় সিংড়া থানা পুলিশ কর্তৃক চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার, গ্রেফতার- ২ বাউফলে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ  ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাচনে ভোট যুদ্ধে ৪ হেভিওয়েট প্রার্থী।  লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তারিকুল ইসলাম উজ্জলের গণসংযোগ  ট্রাক ড্রাইভারকে খুন করে রড ছিনতাইয়ের ঘটনায়  আটক-৪ পাইকগাছায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে আইচক্রীম কারখানায় থেকে জরিমানা আদায় এফডিসিতে সাংবাদিকদের উপর হামলা, আহত ২০

নেএকোনায় ভারতীয় মদ সহ গ্রেফতার-২

স্টাফ রিপোর্টার,শেখ সেলিম রেজা:-
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০২২

নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা থানার রেন্টিতলা নামক স্থান থেকে নিষিদ্ধ ভারতীয় ২৮ বোতল মদ সহ মাদক-কারবারি দুই জনকে আটক করেছে কলমাকান্দা থানা-পুলিশ।

জানা যায়,গত কাল রাত আনুমানিক ১১ঘটিকার দিকে এক বিশেষ অভিযানে ২৮ বোতল ভারতীয় মত সহ দুইজনকে আটক করেন কলমাকান্দা থানার পুলিশ

এই বিষয়ে জানতে চাইলে জানাযায়, নবাগত এসপি ফয়েজ আহমেদ তিনি যোগদানের পর থেকেই ১০ টি থানার অফিসার ইনর্চাজদের তিনি কড়া নির্দেশ প্রদান করেছেন যে, নেত্রকোণা জেলা থেকে ইয়াবা,মদ,গাজা,ফেনসিডিল, হিরোইন সহ সকল ধরনের নেশা জাতীয় অচিরেই নির্মূল করার জন্য এবং কঠোর ভাবে মাঠে কাজ করতে নির্দেশ দেন তিনি অফিসার ইনচার্জদের।

তারই ধারাবাহিকতায় কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনর্চাজ,আবদুল আহাদ খানের চৌকস একটি টিম নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেন্টিতলা এলাকা থেকে ২৮ বোতল নিষিদ্ধ ভারতীয় মদ এবং মাদক কারবারি নামের সিপন এবং সজিবকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদ খানের সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন,মাদক সহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। মাদক আইনে মামলা করে আদালতে সোর্পদ করা হবে বলে জানান তিনি।

পরে এই বিষয়ে,নবাগত এসপি ফয়েজ আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,নেত্রকোনা জেলায় কোন মাদক কারবারি এমনকি মাদক সেবনকারীদের স্থান পাবে না। কারণ আমরা সকল অফিসারদের কে নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসছি মাদকের বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেন,একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে মাদকাসক্তদের সুচিকিৎসার প্রয়োজন। এজন্য বর্তমান সরকার বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে মাদকাসক্তদের চিকিৎসায় নিয়োজিত বেসরকারি ও পরামর্শ কেন্দ্রগুলোকে সরকারি অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা বাড়াতে বিদ্যমান সরকারি কেন্দ্রগুলোতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া ঢাকার কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত করাসহ ঢাকার বাইরে সাতটি বিভাগে দুইশ শয্যা মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণাকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা মাদক নিয়ন্ত্রণে নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ করি। মাদক অপরাধ দমনে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ ঘোষণা অনুযায়ী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ দেশের সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন,আমাদের উদ্দেশ্য নেত্রকোনা জেলায় কোন মাদক কারবারি ও সেবনকারীর স্থান হবে না,যারা মাদকের সঙ্গে জড়িত তাদের কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে এবং মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স করা হবে।মাদক নির্মূল করার জন্য আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও সমাজের সব শ্রেণি পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাদকের চাহিদা শিগগিরই অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন তিনি।তাই তিনি সকলের সহযোগিতায় কামনা করেন।তিনি আরো জানান,অপরাধী যেই হোক, কোন ছাড় দেওয়া হবেনা।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..