কিশোরগঞ্জে পরকীয়ার জেরে মামিকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাগ্নের বিরুদ্ধে। শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুর পৌনে ২টার দিকে পৌর শহরের গুরুদয়াল কলেজের ওয়াসীম উদ্দিন মুসলিম ছাত্রবাসের বিপরীত দিকের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রোকসোনা (৩০) শহরের হারুয়া গুরুলদায় কলেজ রোড এলাকার তাজুল ইসলামের স্ত্রী। অভিযুক্ত মামুন (৩০) শহরের শোলাকিয়া এলাকার মো. সোহরাবের ছেলে। তাকে আটক করেছে পুলিশ।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে দুপুরের দিকে ফাঁকা বাসায় মামিকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন মামুন। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক মামুনকে আটক করে।
তবে নিহত গৃহবধূর স্বামী তাজুলের দাবি- তার স্ত্রীর সঙ্গে ভাগ্নে মামুনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এর জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। আমি মামুনকে বাসায় জায়গা দিতে না করেছি। তারপরও সে মামুনকে জায়গা দিয়েছে এবং তার সঙ্গে মিশেছে।
নিহতের বড় মেয়ে ছোঁয়া জানায়, তার নানার বাড়িতেও একদিন তার মাকে মামুন ব্যাট দিয়ে মাথায় আঘাত করেছে।
ওসি মোহাম্মদ দাউদ জানান, দুপুরের দিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভাগ্নে মামুনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।