শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ০৪:০৯ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
গলাচিপায় বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশত: ১৪৪ ধারা জারি পটুয়াখালীর মহিপুরে ৩ টি অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে জায়গা জমি বিরোধের জের ধরে হামলায় এক মহিলা আহত পুলিশ যেতে ভয় পেয়েছে’: মুজিবের বাড়ি ভাঙার সময় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্নে ইউনূস বাংলাদেশ ধর্মপাশায় কোরবানির ইতিহাস ও শরীয়তের বিধান বিষয়ক প্রশ্নোত্তর ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতা হাসিনাসহ সাত জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সালাহউদ্দিনের গুমের অভিযোগ ডিসেম্বরেই নির্বাচনে অনড় বিএনপি,এনসিপি বলছে, জুলাই সনদের আগে ভোটের তারিখ নয় লাইভে এসে আত্মহত্যা করলেন হিরো আলম মোহনগঞ্জে নিষিদ্ধ জালের গুদামে অভিযান, বিপুল পরিমাণ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস লোহাগড়ায় আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ ক্যাবল চুরি, অন্ধকারে ২৬ হাজার গ্রাহক, জন ভোগান্তি চরমে

প্রেমের টানে, যুক্তরাষ্ট্রের যুবক রাইয়ান এখন গাজীপুরে

দৈনিক,সংগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক ঃ
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ৪ জুন, ২০২২

গাজীপুর প্রেমের কাছে সব কিছুই তুচ্ছ। প্রেম মানে না কোনো বাধা, ভৌগোলিক সীমারেখা, ধর্ম, বর্ণ। তাইতো প্রেমের টানে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে গাজীপুরে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের যুবক রাইয়ান কফম্যান।

গত ২৯ মে তিনি বাংলাদেশে আসেন। এরপর পরিবারের সম্মতিতে গাজীপুরের মেয়ে সাইদা ইসলামের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন।

রাইয়ান যুক্তরাষ্ট্রের মিজুরি স্টেটের ক্যানসাস সিটির নাগরিক। তিনি তার এলাকার একটি প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানায় অপারেটর পদে কাজ করেন। লেখাপড়া করেছেন মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত। তার মা-বাবা ছাড়াও এক বড় ভাই রয়েছেন। তারা সেখানে প্রত্যেকেই আলাদাভাবে বসবাস করেন।

কনে সাইদা ইসলাম (২৬) গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকার মোশারফ হোসেন মাস্টারের নাতনি ও মৃত সিকন্দার আলীর মেয়ে।

কনের নানা মোশারফ হোসেন মাস্টার বলেন, আমার জামাইয়ের নাম সিকন্দার আলী। সে ঢাকার দনিয়া এলাকায় বসবাস করত। ২০১৯ সালে সে মারা যায়। জামাইয়ের মৃত্যুর পর আমার মেয়ে দুই নাতনিকে নিয়ে ঢাকা থেকে গাজীপুরে চলে আসে। এখন তারা আমার এখানেই বসবাস করছে। বাবা মারা যাওয়ার এক বছর পর (২০২০ সালে) স্নাতক পাস করে সাইদা।

কনে সাইদা ইসলাম বলেন, ২০২১ সালের এপ্রিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম পরিচয় হয় রাইয়ান কফম্যানের সঙ্গে। এ সময় আমরা নিজেদের ফোন নম্বর, ফেসবুক আইডি ও ঠিকানা বিনিময় করি। এরপর থেকে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। ফোন ও ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ট হয় এবং দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলি। এভাবে প্রায় এক বছর ফেসবুকে প্রেম করি।

তিনি আরও বলেন, এরপর দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই। রাইয়ান বিয়ে করার জন্য খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে তার ও আমার পরিবারের সম্মতিতে এ বছরের ২৯ মে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসে। এ দিনই আমাদের প্রথম দেখা হয়।

এয়ারপোর্ট থেকে রাইয়ান আমার সঙ্গে নানা বাড়িতে আসে। পরে সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। বর্তমানে আমরা নানা-বাড়িতেই আছি।

এদিকে রাইয়ান বলেন, ‘আনুষঙ্গিক কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। এসব সম্পন্ন হলেই সাইদাকে আমেরিকা নিয়ে যাব। সাইদার স্বজন ও বাংলাদেশীরা খুবই অতিথি পরায়ণ। আমেরিকায় অচেনাদের সঙ্গে কেউ খুব একটা কথা বলে না। কিন্তু বাংলাদেশে আসার পর দেখছি আমার প্রতি সবাই খুবই আন্তরিক।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..