শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সাতক্ষীরা কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা। চবিতে চলছে হল সিলগালা। নড়াইলে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু  নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৭   সিংড়ায় মাসব্যাপী চলনবিল বৃক্ষরোপণ উৎসবে বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ পুরাতন সাতক্ষীরায় জমিজমা বিরোধে ৪জনকে পিটিয়ে আহত কোটা সংস্কারের দাবিতে বঙ্গভবনের স্মারকলিপি দিলেন শিক্ষার্থীরা যারা না জেনে সমালোচনা করেন, তারা মানসিক রোগী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু গৃহকর্মীকে  নির্যাতনের ঘটনায় দম্পতি গ্রেফতার। সাভারে চুরির অপবাদ দিয়ে শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক দুই

দেড় যুগ পর চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

এম. মতিন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ২৯ মে, ২০২২

দীর্ঘ ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন।
সম্মেলনকে ঘিরে পদ প্রত্যাশীদের তোরন, ব্যানার, ফেস্টুন ও
বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে চট্টগ্রামের হাটহারীতে পার্বতী স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণ ও উপজেলা সমূহ।

আজ রোববার (২৯ মে) চট্টগ্রামের হাটহারীতে পার্বতী স্কুল মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে জাতীয় সংগীত, পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।

উত্তরজেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম আল মামুনের সভাপতিত্বে ও সা: সম্পাদক এস এম রাশেদুল আলমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সা: সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জি: মোশাররফ হোসেন এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ এমপি ও ভার্চুয়ালে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশকে সম্মান এনে দিয়েছেন, সফলতা এনে দিয়েছেন এগুলো আমাদের বড় অর্জন। এই অর্জনকে রক্ষার দায়িত্ব যুবলীগের। পাশাপাশি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সকল ষড়যন্ত্র থেকে রাজপথে রক্ষা করতে হবে।

উপস্থিত নেতা কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের নির্ণয় করতে হবে কিভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। তিনি বলেন, রাজনীতি মানে অধিকার আদায় করা। কোনো গোষ্ঠী বা গোত্রের অধিকার হরণ হয় বা নিপীড়িত হয় তখনই যুবলীগ প্রতিবাদি কন্ঠ হিসেবে ভূমিকা রাখে, যা যুবলীগের চরিত্র। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে রাজনীতি, সংস্কৃতির পরিবর্তন আসবে। আজকে যুবলীগ মানবিক যুবলীগে আবর্তিত হয়ে আলোর দিকে ধাবমান।

যুবলীগ ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে জানিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। কেননা সামনের দিনে দক্ষতার বিকল্প নাই। রাজপথে আমাদের মেধাবী সৈনিক দরকার, সৃজনশীল প্রতিভার দরকার, দক্ষ কারিগরের দরকার। আমাদের প্রত্যয় হবে শোসন মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা কায়েম। মানুষকে শোষণ, শাসন, নির্যাতন করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, সামনে অনেক প্রতিকূলতা। বঙ্গবন্ধু কন্যারি বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র রাজপথে থেকে প্রতিহত করতে হবে। রাস্তায় আন্দোলন সংগ্রামের প্রস্তুতি নিতে হবে। আগামীতে যুব সমাজকে যুব শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। কেননা যুব শক্তি মেধা ও দক্ষতা দ্বারা বলিয়ান।

পরশ বলেন, সংগঠনে ভুঁইফোড় অনুপ্রবেশকারীদের রাজত্ব বন্ধ করতে হবে। আশা করি আপনারা ত্যাগী সাংগঠনিকভাবে অভিজ্ঞ ও দক্ষ নেতাকর্মীদের নির্বাচন করে মূল্যায়ন করবেন। যারা দলের দুঃসময়ে সংগ্রাম করেছে, জেল-জুলুম ত্যাগ-তিতিক্ষা অত্যাচার সহ্য করেছে, তাদেরকে আপনারা বিবেচনা করবেন। বিবেচনা করবেন তাদের বিগত দিনের কর্মকাণ্ড ও কার্যকলাপ।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ দুর্নীতিগ্রস্ত হবেন না। দুর্নীতি বাংলাদেশকে ভিতর থেকে খেয়ে ফেলেছে। দুর্নীতি দূর করা কঠিন কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যুবলীগ দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। আইন করে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সামাজিক আন্দোলন করে দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে জনগণকে যুক্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, যুবলীগের প্রয়োজন সুশৃঙ্খল সংগঠন। এ সংগঠনে সবাইকে সুশৃঙ্খল নীতিমালা মেনে চলতে হবে। যারা যে পদপদবী পাবেন তারা কমিটির সদস্যদের খবরা খবর নিতে হবে। সংগঠনের সকল সভা থেকে শুরু করে বর্ধিত সভাগুলো যথা সময়ে সম্পন্ন করতে হবে।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান, সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, দিদারুল আলম ও খাদিজাতুল আনোয়ার, যুবলীগ চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জয়দেব নন্দী, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আদিত্য নন্দী ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিটসহ উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে সর্বশেষ যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে কেন্দ্র থেকে এস এম আল মামুনকে সভাপতি ও এস এম রাশেদুল আলম সাধারণ সম্পাদক করে কমিটির অন্যান্যদের পদ-পদবীতে বহাল রেখে সর্বশেষ কমিটি করা হয়েছিল

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..