খাগড়াছড়ির
রামগড়ে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠনের অনিয়মের প্রতিবাদে রামগড় উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ২১মে ২০২২ইং আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেস ব্রিফিং পাঠ করেন রামগড় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ভুঁইয়া,এসময় তিনি বলেন গত ১৯মে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে রামগড় উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়েছে,যাহাতে নিয়মনীতি উপেক্ষা করা হয়েছে।মূলত ২০১৯ সালে ২৪ ডিসেম্বর রামগড় উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠিত হয় সম্মেলনের মাধ্যমে।উপজেলা কমিটিতে আমি মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করে আসছি, ঐ কমিটিতে মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী সিনিয়র সহ- সভাপতি এবং মুজিবুল হক মজু সহ- সভাপতি হিসেবে উপজেলা কমিটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন, একই সম্মেলনে মোতাহের হোসেন (মিলন)পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন,এছাড়াও উপজেলা ও পৌর কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের পদধারীরা দায়িত্ব পালন করছেন,অথচ তারা কেউই গত ১৯ মে অনুষ্ঠিত কাউন্সিল সম্পর্কে অবগত নন,মূলত লোকজনকে খাগড়াছড়িতে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা বলে ডেকে নিয়ে অগণতান্ত্রিক ও অসাংগঠনিক ভাবে কাউন্সিলের মোড়কে আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া ইচ্ছা অনুযায়ী স্বৈরতান্ত্রিকভাবে পকেট কমিটির ঘোষণা করেন।শহীদুল ইসলাম ভূইয়া আরো বলেন মূলত নিয়ম হচ্ছে উপজেলা ও পৌর আহবায়ক কমিটি গঠন করে উক্ত কমিটির মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ইউনিয়ন কমিটি ও পৌর ওয়ার্ড কমিটি গঠন করতে হবে।ইউনিয়ন কমিটির প্রত্যক্ষ ভোটে উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠিত হবে,এটাই হচ্ছে নিয়ম।সেই ক্ষেত্রে আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দলের গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্বৈরাচারী কায়দায় নিজের খেয়াল-খুশি মতো পূর্বে প্রণয়নকৃত তালিকা অনুযায়ী কমিটি ঘোষণা করেছেন।যাহা দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও নীতি বহির্ভূত কাজ।যার ফলশ্রুতিতে এই খাগড়াছড়ি জেলায় বিএনপি ধীরে ধীরে দূর্বল হয়ে পড়ছে।এসকল অনিয়মতান্ত্রিক এবং অগঠনতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন শুধু মাত্র আমাকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার জন্য,আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকে আমি বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত,আমার মা সহ পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন,আমার বাবা ব্যবসায়ী হওয়ার সত্তেও বৃদ্ধ বয়সে জেল খেটেছেন।১৯৯৯ সালে আমাদের বাড়ী পুড়িয়ে দেওয়া হয়,অনেক মামলা এখনো চলমান রয়েছে।এ অবস্থায় জনাব ওয়াদুদ ভূইয়া চাচ্ছেন আমি যাতে দল করতে না পারি।সেজন্যেই তিনি এই চোরাগুপ্তা পকেট কমিটি করেছেন।আমি যাতে দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহন করতে না পারি সে জন্যও নানারকম ষড়যন্ত্র করে আমাদেরকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছেন,আমি এসকল কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আমি আশা করছি দলীয় শৃঙ্খলা ধরে রেখে দলকে শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে কেন্দ্রের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ এই অবৈ কমিটি বাতিল করে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কমিটি গঠন করতে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এসময় সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ সভাপতি ও উপজেলা সিনিয়র সহ সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন,ত্রাণ ও পূর্ণভাসন সম্পাদক আবুল কাশেম,পৌর কমিটির সিনিয়র সহ -সভাপতি মোতাহের হোসেন মিলন প্রমুখ,এছাড়াও ছাত্রদল, শ্রমিক দল,যুবদল সহ উপজেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া সহ জেলা- উপজেলার বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।