মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় অপহরণ করে পাশ্ববর্তী বালিদিয়া এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবক ও তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার দুপুরে নারীকে উদ্ধারের পর তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
এঘটনায় ওই নারীর মা বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে মহম্মদপুর থানায় মামলা করেছেন।
অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নারীর মা ও মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের দরিশালধা গ্রামের বিবাহিত এক নারীকে উত্যক্ত করত পাশ্ববর্তী নড়াইলের লোহাগড়ার লাহুড়িয়ার হেসলাগাতি এলাকার যুবক আকাশ শেখ (২০)।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই নারী নহাটা বাজারে গেলে কলেজিয়েট গার্লস স্কুলের সামনে থেকে দরিশালধার লিটন মোল্যা ও আমিনুর রহমান মোল্যা ও আকাশ দুটি মোটরসাইকেলে তুলে বালিদিয়ার দিকে নিয়ে যায়।
বালিদিয়া গ্রামের ব্যবসায়ি কামাল মিনের বাড়িতে ওই নারীকে আটকে রেখে আকাশ ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজন সহযোগী হিসেবে কাজ করে। তাঁরা সবাই পূর্ব পরিচিত বলে পুলিশ জানায়।
ধর্ষণের পর ওই নারীর স্বর্ণালংকার গলার চেইন ও কানের দুল খুলে রেখে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় ওই চার যুবক।
এ ঘটনায় মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মা বাদী হয়ে থানায় চার জনের নামে মামলা করেন। পুলিশ নহাটার দরিশালধা গ্রামের আমিনুর রহমান মোল্যা (২৬), বালিদিয়া গ্রামের কামাল মিনে (২৫) ও লাহুড়িয়া গ্রামের আকাশ শেখ (২০) কে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত আরেক অভিযুক্ত দরিশালধা গ্রামের লিটন মোল্যা (৩০) পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার নারী ও তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছে। আটক তিন জনের কাছ থেকে গলা ও কানের স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পরে নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন,মামলার মূল আসামিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।