গাজীপুরের কোনাবাড়ি থানাধীন আমবাগ পূর্বপাড়া এলাকার একটি বিল থেকে গত ৭ জুলাই রাতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা দু’জন যুবকের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
রাসেল প্রধান নামে এক যুবক একাই তাদের খুন করে লাশ পানিতে ফেলে ঘাস ও লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ৮ জুলাই গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানায় মামলা হয়। পরে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ (উত্তর) জাকির হাসান কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে রোববার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ওই জোড়া খুনের ঘটনায় সন্দেহাতিতভাবে পুলিশের একাধিক টিম কোনাবাড়ি থানা এলাকা, জেলার কালিয়াকৈর ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার কিসমত দুর্গাপুর মধ্যপাড়া এলাকার মুনসুর আলীর ছেলে রাসেল প্রধান (২৫) ও বগুড়া জেলার ধুনট থানাধীন শৈমারী এলাকার সাইদুল সরকারের ছেলে সৈকত সরকারকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল প্রধান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং তার শনাক্ত মতে নিহতের পরিচয় মো. মাহমুদুল হাসান (২০) রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার চাঁদপাড়া এলাকার আলমগীর মিয়ার ছেলে ও রাকিব হোসেন (১৮) নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার সাতনাই কলোনির আলম মিয়ার ছেলে। তারা গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি থানাধীন আমবাগ শাহানা বেকারির কর্মচারী ছিলেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, নিহত মাহমুদুল হাসানের নিকট রাসেল মিয়ার ২৫০০ টাকা পাওনা নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জের হিসেবে রাসেল গত ৩ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাহমুদুল হাসান ও রাকিবকে নিয়ে কোনাবাড়ির বাঘিয়ার চক বিলপাড়ে যায়। জাদু দেখানোর কথা বলে কৌশলে প্রথমে মাহমুদুল হাসানের হাত-পা বেঁধে পানিতে ফেলে হত্যা করে।
পরে রাকিব হোসেন যখন বলেন এ ঘটনা তিনি বাহিরে প্রকাশ করে দেবেন তখন তাকে একটি কংক্রিটের সীমানা পিলার দিয়ে মাথায়, বুকে ও পিঠে আঘাত করে হত্যা করে তাদের মোবাইল সেট রেখে লাশ পানিতে ফেলে দেয় এবং ওই লাশ দুটি ঘাস ও পাতা-লতা দিয়ে ঢেকে চলে যায়। পরে রাসেল প্রধান ওই মোবাইল সেট সৈকত সরকারের কাছে বিক্রি করে আত্মগোপনে চলে যায়।
এরই সূত্র ধরে পুলিশ সৈকত সরকারকে গ্রেফতার করে।