বাংলাদেশ বিএনপির অন্যতম নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর দীর্ঘ ১৭ বছর কারাভোগ শেষে নিজ এলাকা নেত্রকোণায় আগমন করবেন। আর এই আগমনকে ঘিরে জেলায় চলছে প্রস্ততি, সাজছে নেত্রকোণা। দীর্ঘজীবন কারাগারে কাটানোর পর মুক্তির দিন থেকেই সমর্থকসহ নেতা-কর্মীদের উচ্ছ্বাস আনন্দ বিরাজ করছিল। নিজ জেলায় আগমন উপলক্ষে নেত্রকোণায় সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠন।
আগামীকাল রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় নেত্রকোণা শহরের ঐতিহাসিক মোক্তারপাড়া মাঠে এক জনসভার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নেতাকর্মীদের মাঝে মাঠ পরিদর্শনসহ বরণের প্রস্তুতিতে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। জনসভাকে সফল করতে গতকাল শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আনোয়ারুল হকের বাসায় এক প্রস্তুতি সভারও আয়োজন করা হয় বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
দলটির সূত্র আরও জানায়, নেত্রকোণায় পদার্পণ করে জনসভায় যোগ দিয়ে রাতেই নিজ বাড়ি নেত্রকোণা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনের মদন উপজেলার বাড়ি ভাদেরা গ্রামে চলে যাবেন। সেখানে রাত্রিযাপন শেষে খালিয়াজুরী উপজেলা ও মোহনগঞ্জ উপজেলায় জনসমাবেশে যোগ দিয়ে নেতাকর্মীদের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ শেষে ঢাকায় ফিরেবেন। তিন দিনের এই সফরে তিনি পুরো জেলার নেতা-কর্মীদের সাথে পর্যায়ক্রমে মতবিনিময় করবেন বলে জানান যায়।
সংসদ নির্বাচনী তথ্য সূত্রে জানা গেছে, লুৎফুজ্জামান বাবর পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, ১৯৯১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, ১৯৯৬ সালে তিনি বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হন।
ওই বছরই সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন। কিন্তু পরবর্তীতে আবার ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। সেবার তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় বিএনপি থেকে বহিষ্কারের পর তিনি ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ১০ ট্রাক অস্ত্রসহ অসংখ্য মামলায় দণ্ডিত করে কারাগারে আটকে রাখে।
গতবছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময় চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি দীর্ঘ ১৭ বছরের কারাজীবন শেষ করে মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করেন।