বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোনের গুলিবিদ্ধ মো. মুস্তাকিমকে (১৯) আর্থিক সহায়তা করেছে সেনাবাহিনী। বুধবার (৯ অক্টোবর) সহায়তার ১০ হাজার টাকা আহত মুস্তাকিমের হাতে তুলে দেন মোহনগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর নাজমুস সাকিব। মোস্তাকিম নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের সাতুর পূর্বপাড়ার বাসিন্দা।
নেত্রকোণা সেনা ক্যাম্পের মেজর জিসানুল হায়দার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মুস্তাকিমের পরিবারের পক্ষে আহতের প্রয়োজনীয় খরচ মেটানোর জন্য সেনাবাহিনীর ৮ম ইস্ট বেঙ্গলের লে. কর্নেল নূর-ই আহমেদ আল-শাফী এই অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
জানা গেছে, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গাজীপুরের বড়বাড়ী মোড় এলাকায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হন পোশাক কারখানার শ্রমিক মো. মুস্তাকিম। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় প্রথমে মোস্তাকিম ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হন। পায়ে ব্যান্ডেজ পেঁচিয়ে এক দিন পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে চিকিৎসক মুস্তাকিমকে তার ক্ষতস্থান শুকানোর পর অস্ত্রোপচার করার কথা বলেন। কিন্ত আহত পোশাক শ্রমিক টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ এবং কিনতে পারছিলেন না প্রয়োজনীয় ওষুধ। গ্রামের বাড়ির বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন মুস্তাকিম।
এ বিষয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নজরে আসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নেত্রকোণা সদরের ক্যাম্প কমান্ডার এবং ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নূর-ই আহমেদ আল-শাফী, এসইউপি পিএসসির। তার উদ্যোগে আহত মোস্তাকিমকে দ্রুত সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
এরপর গত ২২ সেপ্টেম্বর মোস্তাকিমকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ময়মনসিংহে প্রেরণ এবং ভর্তি করা হয়। তার পা অস্ত্রোপচারের জন্যে উপযুক্ত হতে আরো তিন মাস সময়ের প্রয়োজন। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ সিএমএইচ থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। অস্ত্রোপচার হওয়ার আগ পর্যন্ত এই তিন মাস মুস্তাকিমের যাবতীয় ওষুধ-পথ্যের খরচ সেনাবাহিনীর ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট বহনের দায়িত্ব নেয়।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..