শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৫:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সিংড়ায় ভোক্তা-অধিকারের অভিযানে তিন প্রতিষ্ঠান কে জরিমানা  সাতক্ষীরার তালায় ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত আহত ১১   বাগেরহাটের রামপালে লায়ন ড.শেখ ফরিদুল ইসলামের উদ্যোগে চোখের ছানি অপারেশন ও লেন্স সংযোজন ৫০০ রোগী বাছাই লোহাগড়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী কে এম ফয়জুল হক রোমের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ  নড়াইলে চিত্রা নদী থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটে দাঁড়িয়ে থাকা পিকাপ ভ্যান এর পেছনে ট্রাকের ধাক্কায় নি*হত ১ জোবিঅ সোনারগাঁও এর উদ্যোগে অবৈধ তিতাস গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ কাজ চলমান । বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কে মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) ক্লোজড বাগেরহাটের রামপাল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে আলী সরদার নামে এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার লোহাগড়ায় বিয়ের ৫ মাস না পেরোতেই দূর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান যেসব স্থানে অবস্থান করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও বিভি্ন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বর্তমান সরকার ওইসব স্থান সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো সংরক্ষণে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে সংসদ নেতা জানান, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের স্মৃতিবিজড়িত স্থানে এরই মধ্যে ১৫০ ফুট উঁচু গ্লাস টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। ভাস্কর্য স্থাপনার কাজ চলছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু ও তার পূর্বপুরুষের আবাসস্থলকে প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণ করছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ গঠন কররা স্থল ঢাকার রোজ গার্ডেনকেও বিশেষ পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ঢাকার চকবাজারের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের যে প্রকোষ্ঠে জাতির পিতা দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন সেখানে জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সংরক্ষিত আছে।

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে রাজউকের ঐতিহ্য ইমারতের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা জানান, এটি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বঙ্গবন্ধু ভবনকে এরই মধ্যে স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকার মিন্টো রোড এবং আবদুল গণি রোডের যে ভবনগুলো শেখ মুজিবর রহমান বিভিন্ন সময় অবস্থান করেছেন সেগুলো সংরক্ষণের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।

দেশের বিভিন্নস্থানের বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোর সংরক্ষণের উদ্যোগ কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার অম্বিকা ময়দানে জাতির পিতা স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারেও নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসৌধ। বরিশালে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত পুরাতন সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে চিরন্তন মুজিব ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৬ দফার সমর্থনে যে জনসভা করেছিলেন, সেই স্মৃতি সংরক্ষণে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তপমঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৭০ সালে পটুয়াখালীর লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনার মাঠে বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনী ভাষণের স্থানে স্মৃতিফলক নির্মিত হয়েছে। ১৯৭০ সালে নীলফামারীতে নিরবাচনী প্রচারণায় গিয়ে কুচিয়ার মোড় এলাকার চৌচালা একটি মসজিদে বঙ্গবন্ধু জুম্মার নামাজ আদায় করেন এবং ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর ২৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা করেন। ওই মসজিদটিও স্থানীয় প্রশাসন সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে।১ ৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসন চলাকালে জাতির পিতা কক্সবাজার জেলার ইনানীর চেংড়িতে আদিবাসি নেতা ফলোরাম চাকমার বাড়িতে কিছুদিন অবস্থান করেন। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থান হিসেবে ওই বাড়িটি সংরক্ষণ করা হয়েছে। টুঙ্গিপাড়া থেকে ফরিদপুরে যাওয়ার পথে মকসুদপুরের সিন্দিয়াঘাট রেস্ট হাউজে শেখ মুজিব একাধিকবার রাত্রিযাপন করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে ওই রেস্ট হাউজটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৯৪৯ সালে ব্রাম্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে কৃষ্ণনগর হাইস্কুলে বঙ্গবন্ধুর দ্বার উন্মোচনের স্থানটিতে স্থানীয় প্রশাসন স্মৃতিফলক নির্মাণ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সমগ্র বাংলাদেশই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচিহ্ন। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে আলাদা করার সুযোগ নেই। জাতির পিতা বাংলাদেশের সকল জেলায়, এমনকি অধিকাংশ থানায় ও সহস্র জনপদে রাজনৈতিক ও সাংগঠিনিক কাজে ভ্রমণ ও অবন্থান করেছেন। বাংলার প্রতিটি অঞ্চলেই ছড়িয়ে আছে তার স্মৃতি। বাংলার সাধারণ মানুষের হৃদয়ে বিরাজ করছেন বঙ্গবন্ধু।

 

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..