বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০৭ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানের ৭ দিনের রিমান্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী সাংবাদিক মোজাম্মেল হক বাবু ও শ্যামল দত্তসহ চারজনকে আটক করেছে জনতা। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ- এবি পার্টি পাটকেলঘাটায় আবারও সাতক্ষীরা খুলনা মহাসড়ক অবরোধ। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পচা বাংলাদেশ থেকে তরতাজা বাংলাদেশ করে রেখে যাবো নড়াইলে  ট্রাক চাপায় নাতিসহ ৩ জন নিহত. আহত ১ ডিসি,পদে নিয়োগ বঞ্চিত অভিযোগ তুলে সচিবালয়ে হট্টগোল বাগেরহাটের রামপালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শান্তি-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নেত্রকোণায় ভারতীয় ২৭৪বস্তা চিনি জব্দ 

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘের রোডম্যাপ চায় বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘকে একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ প্রস্তুত করার অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বুধবার বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠককালে তিনি এ অনুরোধ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। তবে এ সংকটের সমাধান নিহিত রয়েছে মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের ওপর, যা গত চার বছরে সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে জাতিসংঘ একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করুক।

রোহিঙ্গাদের চার বছর বাংলাদেশে অবস্থানের নেতিবাচক দিক, বিশেষ করে কক্সবাজারের স্থানীয় লোকজনের ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে তা তুলে ধরে ড. মোমেন বলেন, খুব দ্রুত যদি প্রত্যাবাসন শুরু না হয় তাহলে এটি কেবল এই এলাকারই সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে না, বরং তা এই অঞ্চল ও এর বাইরেও অস্থিরতা তৈরি করবে।

জাতিসংঘের বিশেষ দূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাসানচর প্রকল্পের কথা অবহিত করে বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। জাতিসংঘ যেন ভাসানচরে মানবিক সহায়তা প্রদান করে। বিষয়টি বিশেষ দূতকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখার অনুরোধ করেন মোমেন।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিশেষ দূতকে ভাসানচর পরিদর্শনে আসার আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বিশেষ দূত মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা এবং অচিরেই যেন প্রত্যাবাসন কাজ শুরু করা যায় সেজন্য জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রসহ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের সব অংশীজনদের সঙ্গে বিশেষ দূত যোগাযোগ ও আলোচনা অব্যাহত রেখেছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এছাড়া ভাসানচর পরিদর্শন করতে বিশেষ দূত তার আগ্রহের কথাও জানান।

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়ার সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন ও অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগকে ধন্যবাদ জানান আব্দুল মোমেন।

 

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..