শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
লাখো জনতার ভালোবাসায় সিক্ত ভোলা-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর এয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোলার ৪ টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল বিএনপি। খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী দেবে না এনসিপি : নাসীরুদ্দীন জোটের ১২ নেতাকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিল বিএনপি ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হবেন হিরো আলম সরিষাবাড়ীতে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মদনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত লোহাগড়ার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে বাজারে আগুন, অর্ধ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি লোহাগড়ায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা পেলো ৩’শ অসহায় ও দরিদ্র রোগী

লোহাগড়ায় পাট অফিসারের অফিসে  অনুপস্থিতি: সেবা বঞ্চিত হাজারো পাট চাষী।

শরিফুজ্জামান, স্টাফ রিপোর্টার
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাট অফিসের কর্মকর্তা শিমুল সরকার নিয়মিত অফিস না করায় উপজেলার ৬ শতাধিক পাট চাষী মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন। পাট চাষীরা সঠিক সময়ে সেবা ও পরামর্শ না পাওয়ায় তাদের ফসল চাষে নানা ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিশেষ করে, পাটের গুণগত মান উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং ভর্তুকি সংক্রান্ত সহযোগিতা না পাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

স্থানীয় পাট চাষীদের অভিযোগ, লোহাগড়া উপজেলার পাট অফিসার শিমুল সরকার দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত অফিস করছেন না। তিনি অফিসে উপস্থিত না থাকায় চাষীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাটের চাষাবাদের মৌসুমে সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় সার, বীজ, ওষুধ এবং কারিগরি সহায়তা না পাওয়ায় চাষীরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। অনেক চাষী অভিযোগ করেছেন, পাট অফিসের কর্মকর্তার এই উদাসীনতা এবং দায়িত্বহীন আচরণ তাদের ফসলের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, লোহাগড়া উপজেলার এক পাট চাষী বলেন, “শিমুল স্যার অফিসে না থাকার কারণে আমরা অনেক সমস্যায় আছি। পাটের ভালো বীজ এবং সার পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদেরকে পাট চাষের সঠিক পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে না। অফিসে গেলে দেখা যায়, দরজা বন্ধ। আমরা কার কাছে যাব, বুঝতে পারছি না।”
লাহুড়িয়া গ্রামের পাট চাষী তবিবর রহমান জানান, “আমরা পাটের ফলন ভালো করতে চাই, কিন্তু পাট অফিস থেকে সঠিক সহযোগিতা না পাওয়ায় আমাদের আশা পূরণ হচ্ছে না। যদি শিমুল স্যার নিয়মিত অফিস করতেন, তাহলে হয়তো আমরা আরও পাটের ভালো ফলন পেতাম।”
এ বিষয়ে পাট অফিসার শিমুল সরকারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার এখানে জনবল কম আমি সহ আমার সহকারী একজন রয়েছে কিন্তু আমরা নিয়মিত অফিস করি। এবং পাট চাষীদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে থাকি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, অনিয়মিত অফিস করা গুরুতর একটি সমস্যা। বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম এবং এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে, স্থানীয় চাষীদের মতে, এমন আশ্বাস তারা আগেও পেয়েছেন, কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..