বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৯ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
ধর্মপাশা ও নেত্রকোনায় ৩৮টি শাখা কেন্দ্রে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। চুরির দায়ে এমপি-মন্ত্রীদের হাত কর্তন করলে পুরো বাংলাদেশ চোরমুক্ত হবে”- সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম রায়পুরে ডেভিড হান্ড অপারেশনে গ্রেফতার তিন। মোহনগঞ্জে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার সিইউএফ স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত। নোয়াখালীতে  অপারেশন ডেভিল হান্টে চেয়ারম্যানসহ  আটক ৭ মোহনগঞ্জে ওরশ-যাত্রাপালার নামে মদ-গাঁজার আসর বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ সাবেক ডিআইজিসহ পুলিশের ৪ কর্মকর্তা আটক গাজীপুরের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)   বরখাস্ত হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর দুই বাড়ি ও ১১নৌযানে আ’গুন

এক দফা ঘোষণা শিক্ষার্থীদে :সমন্বয়ক নাহিদ

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার সমাবেশে এই দাবি তুলে ধরেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা আর তাদের কাছে কী বিচার চাইব? তারাই তো খুনি। আমাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
আপনাদের আন্দোলনের কারণে আমরা ছাড়া পেয়েছি। আজকেও গুলি চলেছে।
এই পরিস্থিতিতে এক দফা ঘোষণা করছি। শেখ হাসিনা বলেছেন, আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে।
তিনি আগেই বুঝেছেন, দরজা রাখার সময় হয়েছে। আমরা আসছি। এই যে খুন-হত্যা হয়েছে, এজন্য তাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে। শুধু শেখ হাসিনা নন, সব মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমাদের এক দফা হলো শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং এই সরকারের লুটপাট-দুর্নীতির বিচার। আমরা জেলের তালা ভেঙে আমাদের ভাইদের আনব। যে অভ্যুত্থান শুরু হয়েছে এতে সব জনতা যোগ দিন। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে সম্মিলিত মোর্চা গঠন করব। আমরা আমাদের দেশের রূপরেখা ঘোষণা করব। আগামীকাল থেকে সর্বত্র অসহযোগ আন্দোলন হবে।
এই সমন্বয়ক বলেন, যদি ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ জারি হয় আমরা মেনে নেব না। এখন ছাত্র-জনতার এগিয়ে আসতে হবে। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে অসহযোগ আন্দোলন পালন করবেন। সরকার যদি জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, এটা জনগণ মানবে না। আপনারা যদি অস্ত্র চালান তাহলে প্রতিরোধ হবে। আমরা সব গণহত্যার বিচার করব বাংলার মাটিতে।
বাংলাদেশের জনগণ অসহযোগের নেতৃত্ব দেবে জানিয়ে তিনি দেশের সর্বস্তরের মানুষকে ছাত্রদের ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলন সফল করার আহ্বান জানান।
এর আগে দুপুর দেড়টার থেকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন। ক্ষণে ক্ষণে বাড়তে থাকে সেই জনস্রোত। এক পর্যায়ে শহীদ মিনার এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পায়ে হাঁটার পাশপাশি রিকশা, সিএনজিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শহীদ মিনারে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে দেখা গেছে অভিভাবকদেরও। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী, শিক্ষক এমনকি রিকশাচালকদেরও এই কর্মসূচিতে দেখা যায়। যেন জনতার ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সমাবেশে যোগ দেওয়া জনমানুষের ভিড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রাঙ্গণ থেকে ছড়িয়ে যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জগন্নাথ হলসহ অন্যান্য রাস্তায়।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..