বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১২ অপরাহ্ন , ই-পেপার

যারা না জেনে সমালোচনা করেন, তারা মানসিক রোগী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দ্বি-পাক্ষিক সফর শেষে ধারাবাহিকভাবে ‘সফর ব্যর্থ’ বলে যে সমালোচনা করা হয়, তাদের মানসিক অসুস্থতা বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারা কী জেনে-বুঝে বলছেন, নাকি শুধু আমাকে হেয় করার জন্য বলছেন, সেটাই প্রশ্ন। আমি বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিই না,
রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
চীন সফরে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হলেও সমালোচকেরা বলছে এ সফরে কোনও প্রাপ্তি নেই, তারা বড় ধরনের ঋণ দেবে না- বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কী জেনে-বুঝে বলছেন, নাকি শুধু আমাকে হেয় করার জন্য বলছেন, সেটাই প্রশ্ন। আমি বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিই না। ১৯৮১ সালের দেশে আসার পর প্রতিটি ক্ষেত্রে এ ধরনের নেতিবাচক কথা বলে, এটাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। সব সময় আমার বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো, এইভাবে কথা বলা।
‘বলতে বলতে এত বেশি বলে, যারা বলছে বলতে দেন। এখানে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। তার আগে ভারত গেলাম, সেখানে বলা হয়েছিল ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করে এসেছি। চীনে গেলাম বলেই কিছুই দেয়নি। এগুলো বলেই আসছে। ভারতের কাছে দেশ বিক্রি, চুক্তি বাতিল করতে হবে। এটা এক ধরনের লোকের মানসিক অসুস্থতা বলে মনে করি। মানসিক অসুস্থতা ছাড়া বানোয়াট কথা কেউ বলতে পারে না। তাদের জন্য করুণাই হয় আমার। তাদের নিয়ে কিছু বলার নাই।’
অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ভারতের গণমাধ্যমের কথা শুনে যারা বললেন, তারা তো দুদিন আগেও বলেছেন, ভারতের কাছে সব বিক্রি করে দিয়ে আসছি। এবং দেশ বিক্রির অসম চুক্তি করে আসছি। তাহলে কোনটা ঠিক।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৬ ঘণ্টা আগে দেশে রওনা হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমার মেয়েকে ওরা (চীন) দাওয়াত দিয়েছিল। ওদের হেলথ মিনিস্ট্রি থেকে দাওয়াত পেয়েছিল। ওর যাওয়ার কথা। ওর প্রচণ্ড জ্বর থাকায় আমার সঙ্গে যেতে পারেনি। এটা বাস্তবতা। আমি একটা মা। ওই অবস্থায় ওকে রেখে আমাকে চলে যেতে হয়।তিনি বলেন, আমার সমস্ত কর্মসূচি কিন্তু শেষ হয়ে যায়। আমাদের কিন্তু ১১ জুলাই পৌঁছানোর কথা। আমরা ১১ তারিখেই এসেছি। হয়তো ১১ তারিখ বিকেলে আসতাম। সেখানে আর্লি-মর্নিং-এ আসছি। মাত্র ৫ বা ৬ ঘণ্টার পার্থক্য। এই ৬ ঘণ্টার মধ্যেই এত বড় তোলপাড় হয়ে যাবে, এটা তো বুঝতে পারিনি। এটাকে রং-চং মাখিয়ে এতকিছু বলা! যারা এসব কথাগুলো বলেন তাদের দেশবাসী যেন একটু চিনে রাখেন। যে তারা এ ধরনের বানোয়াট কথা বলে। আর এটা তো নতুন কিছু নয়। এর আগেও অনেক প্রোগ্রাম শেষ আগে এসেছি। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে রিসিভ করতে ভারত সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেছিলাম।শেখ হাসিনা বলেন, তারা তো চায়, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে না। ভিক্ষা এনে চলবে। এটাই তারা এদেশে করেছে। দেশের ও দেশের মানুষের প্রতি এতটুকু দায়িত্ববোধ থাকলে এত কাজ করার পরেও কিছু দেখে না। চোখ থাকতে কেউ যদি অন্ধ হয় আর কান থাকতে বধির হয় তাহলে আমার কিছু বলার নেই। মুখ আছে বলে যাক। ওটা আমার না শুনলেই হলো। শুনলাম। শুনতে শুনতে আমি অভ্যাস হয়ে গেছি।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতায় যারা বিশ্বাস করে না। রাজাকারদের যারা ক্ষমতায় বসায় জাতির পিতার হত্যাকারীকে সংসদে বসায়, বিচারের হাত থেকে রেহাই দেয়। তাদের মুখে এর থেকে বেশি কী আসা করেন? কী আসা করবেন?

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..