নেত্রকোণা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মানু মজুমদার (৭২) মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও নেত্রকোণা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অসিত সরকার সজল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার বাসায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মানু মজুমদারকে চিকিৎসার জন্য ভারতে পাঠানো হয়। ভারতের বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তৎকালীন সামরিক আদালতের বিচারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় মানু মজুমদারের। ১০ বছর জেল খেটে ১৯৮৫ সালে কারামুক্ত হন এই প্রতিরোধযোদ্ধা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নেত্রকোণা-১ আসনের দুর্গাপুর-কলমাকান্দা থেকে নির্বাচিত হন তিনি এবং পরবর্তীতে নেত্রকোণার ভোটার হন।তিনি ২৪৯,৭৩৮ ভোট পেয়েছিলেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্ধন্দ্ধী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কায়সার কামাল ১৬,৩৩২ ভোট পেয়েছিলেন। তিনি নেত্রকোণা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসের শ্যালক। আওয়ামী লীগ সমর্থকরা তাঁকে বহিরাগত বলে আখ্যায়িত করে তাঁর মনোনীত প্রতিবাদ জানায়।নেত্রকোণায় আসার পথে মানু মজুমদারের গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা।
১৯৮১ সাল থেকে সংসদ সদস্য হওয়ার আগপর্যন্ত তিনি শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত একান্ত সহকারী ছিলেন।
মানু মজুমদারের সঙ্গে জেল খাটা বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধযোদ্ধা অসিত সরকার সজল বলেন, আজ বুধবার ভারত থেকে মরদেহ আনা এবং পরবর্তী অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও মানু মজুমদারের পরিবারের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেবেন।