ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের মেহেরঘোনা এলাকা থেকে ১৯০০ পিস ইয়াবা সহ দুইজন রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে ঈদগাঁও থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মেহেরঘোনার এলাকার মীর মোহাম্মদের সাথে ঐ রোহিঙ্গা যুবকদের সাথে প্রায় ১ যুগ ধরে গভীর সম্পর্ক। সেই সুবাদে সেই রোহিঙ্গা যুবকরা মীর মোহাম্মদের বাসায় নিয়মিত আসা যাওয়া করতো এবং পরস্পর খুব সখ্যতা ছিলো।
মীর মোহাম্মদ পেশায় একজন কাঠুরে। সে তার পেশাগত কারণে চট্টগ্রামের বাশখালি,লোহাগাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় যাওয়া আসা করতো ।
মীর মোহাম্মদের স্ত্রীর ভাষ্যমতে ঐ রোহিঙ্গা যুবকেরা ইয়াবা ব্যাবসার সাথে সম্পৃক্ত এবং কয়েকদিন আগে মীর মোহাম্মদ পেশাগত কাজে বাঁশখালি যাওয়ার পূর্বে ঐ রোহিঙ্গা যুবকেরা গোপনে মীর মোহাম্মদের কাঠ কাটার সরঞ্জামের ব্যাগে ইয়াবা ঢুকিয়ে দেয় যা বাঁশখালি এলাকার একটি ইয়াবা সিন্ডিকেট রিসিভ করবে এ বিষয়ে মীর মোহাম্মদ জানতো না।
পরবর্তীতে মীর মোহাম্মদ বাঁশখালি পৌঁছালে ঐ সিন্ডিকেটের সদস্যরা তার ব্যাগ তল্লাশী করে ইয়াবা গুলো তার হেফাজতে নিয়ে নেয় এবং ইয়াবা পরিমাণে কম কেন এই কথা বলে তার বেধড়ক মারধর করে এবং তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় পরবর্তীতে মীর মোহাম্মদের পরিবারের কাছে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
মীর মোহাম্মদের পরিবার অনেক কষ্টে টাকা জোগাড় করে স্থানীয় সাবেক সেলিম মেম্বারসহ বাঁশখালি গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
এর পর থেকে মীর মোহাম্মদ ঐ রোহিঙ্গা যুবকদের খুঁজতে থাকে।
আজ রবিবার ১ সেপ্টেম্বর মীর মোহাম্মদের কাছে খবর আসে যে ঈদগাঁও বাস স্টেশনে ঐ রোহিঙ্গা যুবকেরা চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্য অবস্থান করছে তৎক্ষনাৎ মীর মোহাম্মদ ঈদগাঁও বাস স্টেশনে গিয়ে তাদের ধরে নিয়ে তার মেহেরঘোনার বাড়িতে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় পরে সেই আরেক জন কে ফোন করে টাকা নিয়ে আসতে বলে সেই টাকার বদলে ইয়াবা নিয়ে আসে এবং এলাকাবাসী ঐ রোহিঙ্গা যুবকদের দেহ তল্লাশি করলে একজনের লুঙ্গীতে কৌশলে লুকায়িত ইয়াবার প্যাকেট পায়।
পরবর্তীতে এলাকাবাসী ঈদগাঁও থানা পুলিশকে খবর দিলে ঈদগাঁও থানার এস আই নোমান সিদ্দিকী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
এস আই নোমান সিদ্দিকী জনসম্মুখে ইয়াবাগুলো তাদের হেফাজতে নিয়ে তৎক্ষনাৎ ঐ রোহিঙ্গা যুবকদের আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
এস আই নোমান সিদ্দিকী জানান ঐ রোহিঙ্গা যুবকদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে ঐ রোহিঙ্গা যুবকেরা জানায় তারা দীর্ঘ ৩ বছর ধরে ইয়াবা ব্যাবসা করে আসছে এবং ঈদগাঁও উপজেলার মেহেরঘোনা এলাকার মীর মোহাম্মদ তাদের অন্যতম সহযোগী।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..