শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকচাপায় নিহত ৩ পাইকগাছায় অভিনব কায়দায় গাঁজা বহনকালে মহিলা আটক- ১ নড়াইলের পানচাষী কার্তিকের স্বপ্ন পুড়ে ছাই  এনআরবি লাইফ-প্রতিভা প্রকাশ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ পেলেন ৫ কৃতিমান লেখক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চবির হলে মাদক বানিজ্য সিংড়া বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে ১৩টি দোকান ভূস্মীভূত  লোহাগড়ায় খুনের ঘটনার ৫ মাস পরেও থামছে না বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট, ভয় আর আতঙ্কে গ্রামছাড়া মানুষ  পাইকগাছায় লাইসেন্স বিহীন ঔষধ বিক্রয়ের দায়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা  মাটির নিচে পালিয়ে থাকলেও খুঁজে বের করে বিচারের জায়গায় আনা হবে ইনশাআল্লাহ্ -মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান মুরাদনগর উপজেলায় ২’শত ফুট লম্বা বাশেঁ সাকোঁ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে ২০ গ্রামের লক্ষাধীক মানুষ।

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান 

স্টাফ রিপোর্টার ও মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোহনগঞ্জ,নেত্রকোণা:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
দেশের ২৪ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার পর বঙ্গভবনের দরবার হলের এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ উপস্থিত ছিলেন। গতকাল অবসরে যাওয়া সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকিও বঙ্গভবনে ছিলেন। এর আগে শপথ নিতে সকাল ১১ টার আগে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন ওবায়দুল হাসান।
গত ২১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয় ও রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণের তারিখ জানানো হয়।
১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ২৪ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের পর থেকে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
গতকাল ২৫ সেপ্টেম্বর অবসরে গেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শপথগ্রহণের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার ৬৭ বছর পূর্ণ গতকাল ২৫ সেপ্টেম্বর। তাই সংবিধান অনুসারে গতকাল তিনি অবসরে যান।
  বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থানাধীন ছয়াশী (হাটনাইয়া) গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আখলাকুল হোসাইন আহমেদ মায়ের নাম বেগম হোসনে আরা হোসাইন।
তার পিতা আখলাকুল হোসাইন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি গণপরিষদ সদস্য হিসেবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত সংবিধানে স্বাক্ষর করেন। তার অনুজ সাজ্জাদুল হাসান বর্তমানে নেত্রকোনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য। সাজ্জাদুল হাসান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ও বিমান পরিবহন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের স্ত্রী নাফিসা বানু বর্তমানে বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ পরিচালনা পরিষদের একজন সদস্য (ফিন্যান্স) হিসেবে কর্মরত আছেন। তাদের সন্তান ব্যারিস্টার আহমেদ শাফকাত হাসান। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ডারহাম থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএল.এম. ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস (অনার্স), এমএসএস (অর্থনীতি) ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বারের সনদ পেয়ে জেলা বার-কমিটি যোগদান করেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে এবং ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
তিনি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগে অনেক সাংবিধানিক মোকদ্দমা পরিচালনা করেন। বিচারপতি হিসেবে যোগদানের পূর্বে তিনি দেওয়ানি,ফৌজদারি এবং সাংবিধানিক বিষয়াদি সম্পর্কিত মোকদ্দমার একজন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধানমন্ডি ল’ কলেজের খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২০০৯ সালের ৩০ জুন   তারিখে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন এবং ৬ জুন ২০১১ সালের ৩০ জুন তারিখে  একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
২৫ মার্চ ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্টাইব্যুনাল-২ এর একজন সদস্য হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্টাইব্যুনাল-২ এ কর্মরত থাকাকালীন সময়ে ১১টি মামলার রায় প্রদান করা হয়েছে।  ট্টাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
 ২০২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুর্নগঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি (অনুসন্ধান কমিটি) গঠন করা হয়েছে। তার নেতৃত্বাধীন অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে।
তিনি ‘অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্রঃ একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য’এবং ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশঃ একজন যুদ্ধশিশুর গল্প ও অন্যান্য’ নামক দু’টি গ্রন্থ রচনা করেছেন

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..