কক্সবাজারের পেকুয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৮ ভূয়া চিকিৎসককে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া নিয়মবহির্ভূতভাবে রোগী ভর্তি করার অভিযোগে আরও এক চিকিৎসকের চেম্বার সিলগালা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূর্বিতা চাকমা পেকুয়া বাজার, ধনিয়াকাটা স্টেশন, বারবাকিয়া বাজার, কাছারিমুড়া স্টেশন ও চৌমুহুনিতে অভিযান চালিয়ে আটজনকে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে ধনিয়াকাটা
স্টেশনের মো. রাসেল নামের এক দোকানদারকেও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানাপ্রাপ্ত ভূয়া চিকিৎসকরা হলেন, প্রদীপ কুমার সুশীল, আবদুল মান্নান, হুমায়রা পারভিন মুক্তা, আবদুর রাজ্জাক, সোহেল মানিক, নুরুল কাদের, জাফর আলম ও সমীর কান্তি নাথ। এরমধ্যে আবদুল মান্নান ও হুমায়রা পারভিন দাঁতের চিকিৎসা করতেন। সিলগালা করা হয়েছে পেকুয়া চৌমুহনীস্থ ডা. শাহাব উদ্দিনের চেম্বার।
পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী বলেন, জরিমানাপ্রাপ্তদের চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট কোন ডিগ্রি নেই। এরপরেও তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভুল চিকিৎসা দিয়ে আসছে। যা প্রতারণার শামিল। মঙ্গলবার এদের প্রত্যেকের চেম্বারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা করার পাশাপাশি সতর্ক করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ডা. পরিচয় দিয়ে চৌমুহনীর একটি ফার্মেসীতে শাহাব উদ্দিন নামের আরেক ভূয়া চিকিৎসক চারজন রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। আমরা সেখানে পৌঁছানোর আগেই ওই কথিত চিকিৎসক পালিয়ে যায়। পরে তাঁর চেম্বার সিলগালা করে রোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূর্বিতা চাকমা বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট কোন ডিগ্রি না থাকার পরও ভূয়া একটি চিকিৎসক চক্র উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভুল চিকিৎসা দিয়ে আসছিলো। মঙ্গল টৈটংয়ের ধনিয়াকাটা বাজার, পেকুয়া বাজার, বারবাকিয়া বাজার ও চৌমুহনীতে অভিযান চালিয়ে দশ চিকিৎসককে জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।