নীলফামারী সদরে জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া আফজাল করিম (৫২) নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ নীলফামারী সদর থানা পুলিশ। সে সদর উপজেলা টুপামারি ইউনিয়নের কিছামত দোগাছির মৃত জন মামুদের ছেলে। কথিত জ্বিনের বাদশার প্রতারণার স্বীকার মো. আশরাফ আলী (৪৮) থানায় একটি মামলা দায়ের করে। থানায় দায়েরকৃত মামলা নং-২৪(০৫)২০২২ইং।
বৃহঃস্পতিবার (২৬শে মে) জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান (বিপিএম-পিপিএম) এর নির্দেশনা মোতাবেক সদর থানার ওসি (তদন্ত) মাহমুদ-উন-নবীর নেতৃত্বে আফজালুলের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার বাড়ি থেকে নন-জুডিসিয়াল ৩ সেট স্ট্যাম্পসহ বিপুল পরিমান স্বাক্ষরিত নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ জানায়, কথিত জ্বীনের বাদশা আফজাল ভুক্তভোগী আশরাফের বাড়ী গিয়ে তাদের ঘরে খারাপ জ্বীন রয়েছে বলে জানান। খারাপ জ্বীন তাদের স্ত্রী সন্তানসহ পরিবারের সবার ক্ষতি করবে জানিয়ে মোবাইল নম্বর নিয়ে প্রথম দিন চলে যায়। পরবর্তীতে রাতে ফোন করে জ্বী তাড়াতে ৩০ হাজার টাকা লাগবে বলে ফোন করে ভুক্তভোগীর পরিবারকে কথিত জিনের বাদশা। এরপর তাদের গুপ্তধন দিবে বলে লোভ দেখি সু-কৌশলে ভুক্তভোগীর নিকট থেকে নগদ ৪লক্ষ ২০ হাজার টাকা ও ভুক্তভোগীর ভাতিজি মোছা. রাশিদা বেগম (৩০) এর নিকট একই কায়দায় বিভিন্ন সময়ে নগদ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৮লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। সম্পত্তি দেওয়ার অজুহাতে ভুক্তভোগীর ক্রয়কৃত ১০০ টাকা মূল্যের ৩টি ও ৫০ টাকা মূল্যের ০৩ টি নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প ভুক্তভোগী, তার স্ত্রী মোছা. আছফুল বেগম ও ভাতিজি মোছা. রাশিদা বেগম এর স্বাক্ষর নেয়।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউপ বলেন, ভুক্তভোগী তাদের গোয়ালের গরুসহ আবাদী জমি বিক্রি করে প্রতারকের হাতে তুলে দেন ৮ লাখ টাকা। ভুক্তভোগীদের স্বাক্ষরিত নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে দিয়ে মামলা করার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে আরো ৩০ লাখ টাকা দাবি করে কথিত জ্বীনের বাদশা। এরপর ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা দায়ের করলে জেলা পুলিশ সুপার মহদয়ের দিক নির্দেশনা মোতাবেক অভিযান চালিয়ে প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়।