শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ”  প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। লোহাগড়ার লাহুড়িয়া পুলিশের অভিযানে ১২ কেজি গাঁজা ও ১টি প্রাইভেটকারসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেফতার। ঈদগাঁও ইউনিয়ন নির্বাচন: ৩ প্রার্থীর মধ্যে মাঠ পর্যায়ে কে এগিয়ে!  সুন্দরবনের ফাঁদ সহ হরিণ শিকারী আটক করেছে বন বিভাগ মধুখালীতে প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী মেলা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মধুখালীতে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা  গলাচিপায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত বাঁশখালীতে জমির বিরুধ নিয়ে সংঘর্ষ উভয় পাক্ষের আহত ১০ মধুখালীতে অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী লোহাগড়ায় সংখ্যালঘুদের চলাচলের রাস্তা অবরুদ্ধ করে রেখেছে একদল ভূমি দস্যু  সন্ত্রাসী 

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ১০ টাকার জন্য মাকে হত্যা, ছেলেকে আমৃত্যু কারাদণ্ড

এ জে এম ইসমাইল হোসেন লক্ষীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মাদক সেবনের জন্য ১০ টাকা না দেওয়ায় মাকে হত্যা করার ঘটনায় ছেলে মো. জাফরের (২৭) আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামি জাফর মাদকাসক্ত ছিল। ১০ টাকা না পেয়ে সে তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করে। আদালত তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

জাফর রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাখালীয়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে। তিনি ঢাকায় সুইপারের চাকরি করতেন। নিহত মায়ের নাম শেফালি বেগম।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, চাকরি হারিয়ে জাফর এলাকায় বেকার হয়ে ঘুরাফেরা করতেন। এতে স্থানীয় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এরজন্য বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা ধার নিতেন। পরে মা শেফালি বেগমের কাছ থেকে ওই টাকা নিয়ে বন্ধুদের পরিশোধ করতেন। ২০২০ সালের ২৮ আগস্ট সকালে মায়ের কাছ থেকে ১০ টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় মায়ের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে মাকে সে কুপিয়ে হত্যা করে। তখন ঘরে অন্য কেউ উপস্থিত ছিল না। ওইদিন রাতে জাফরকে আসামি করে তার বাবা হোসেন আলী রায়পুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরদিন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। একই বছর ২৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রায়পুর থানা পুলিশের (এসআই) মোহাম্মদ সাফায়েত উল্যাহ আদালতে জাফরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এদিকে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় আদালত আইনজীবী হাবিবুর রহমানকে তার পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেন।

আইনজীবী হাবিবুর রহমান জানান, জাফর মাদকসেবনের কারণে মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিল। নেশা করার জন্য টাকা না পেয়ে সে তার মাকে হত্যা করেছে। এর জন্য দায়ী মাদক। তার ডাক্তারি পরীক্ষা করে ঘটনাটি তদন্ত করলে সে এ মামলার আসামি হতো না। কারণ সে যে তার মাকে হত্যা ব্যাপারে তার মানসিক প্রস্তুতি ছিল না। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..